রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৬ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন গৌরনদীতে ইউএনওর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রমে খালের কুচুরিপানা ও ময়লা পরিস্কার করল বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা বর্নাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে গৌরনদীতে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত আমাদের নেতা তারেক রহমান একটি সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চান-জহির উদ্দিন স্বপন মেয়র হারিছ গ্রেপ্তারের খবরে গৌরনদীতে সাধারন মানুষের উল্লাস ফাঁসির দাবিতে বিএনপির বিক্ষাভ মিছিল গৌরনদীতে এইচপিভি টিকা দান ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন কাশিপুরের ড্রেজার ব্যবসায়ী সুমনের অপকর্মে কেউ খুন হলে দায় নেবে না বিএনপি এতিম শিশুর অধিকার নিশ্চিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিধবা মা
সন্তানের ঘটানো শ্লীলতাহানি ঢাকতে মাদ্রাসা পরিচালকের বিরুদ্ধে কুরুচিপুর্ণ অভিযোগ বাবার

সন্তানের ঘটানো শ্লীলতাহানি ঢাকতে মাদ্রাসা পরিচালকের বিরুদ্ধে কুরুচিপুর্ণ অভিযোগ বাবার

রাজাপুর প্রতিনিধি ॥ রাজাপুর উপজেলার নারিকেল বাড়িয়া গ্রামের স্থানীয় মুরব্বিদের অনুরোধে এবং প্রয়োজনের ভিত্তিতে ২০১২ সালে কোরআন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান “নুরুল ইসলামিয়া দ্বিনীয়া হাফেজি মাদ্রাসা” গড়ে তোলেন হাফেজ মাওলানা মোঃ রহমাতুল্লাহ নেছারী।মাদ্রাসাটির সাফল্য ও অগ্রগতি দেখে এক শ্রেণির লোকের গাত্রদাহ শুরু হয়।কোন ভাবেই রহমাতুল্লাহকে হেয়প্রতিপন্ন করতে না পেরে একটি মহল মেতে উঠে ঘৃনিত খেলায়।পরিচালক রহমাতুল্লাহর শিশু কন্যার শ্লীলতাহানি ঘটায় তারই মাদ্রাসার ছাত্র রায়হান।রায়হান পার্শবর্তী শুক্তাগড় এলাকার শাহ আলমের ছেলে।এই ঘটনা থেকে বাচঁতে রায়হানের পরিবার উল্টে কুরুচিপুর্ণ মন্তব্য করে বিভিন্ন মহলে অপপ্রচার শুরু করে পরিচালকের বিরুদ্ধে।মাদ্রাসা সুত্রে যানাযায়, রায়হানকে মাদ্রাসায় ভর্তি করতে সুপারিশ করে স্থানীয় কাশেম মল্লিক।রায়হানের অপরাধের জন্য তাকে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেওয়াতে কাশেম মল্লিক ক্ষিপ্তহয়ে এ কান্ড করে বেড়াচ্ছে।
মাদ্রাসার ছাত্ররা জানায়, গত ১৫ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) দুপুরে রায়হান নামের এক ছাত্র হুজুরের ঘরের মাচায় ওঠে। মাচায় হুজুরের মেয়ে খেলতে ছিলো, কিছুক্ষণ পরে হঠাৎ মেয়ের চিৎকারের শব্দ আসে। হুজুরের মা মাচায় ওঠে দুটোকেই অশালীন অবস্থায় দেখতে পায়। তখন হুজুরের মা তার নাতনিকে নিয়ে নীচে নামেন। হুজুরে ঘরে এলে তাকে শ্লীলতাহানী চেষ্টার কথা বললে মান ইজ্জতের ভয়ে কাউকে কিছু না জানিয়ে ছাত্রটিকে তার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরেরদিন সকালে রায়হানের মায়ের কাছে বিষয়টি বিস্তারিত জানাতে গেলে হুজুরের মা’কে গালমন্দ করে এবং বটি নিয়ে কোপাতে উদ্দত হলে রায়হানের বাড়ী থেকে চলে আসেন হুজুরের মা।
পরিচালক হাফেজ মাওলানা মো. রহমাতুল্লাহ জানান, ঘরে গিয়ে মায়ের কাছ থেকে বিষয়টি বিস্তারিত জানলে কয়েকজন গন্যমান্য ব্যক্তির সাথে আলাপ করে ওই ছাত্রকে মাদ্রাসায় না রাখার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। তাঁদের নিয়ে মাদ্রাসার পাওনাদি পরিশোধ এবং স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়ে বাস্তবায়ন করা হয়।এর কয়েকদিন পের রায়হানকে নিয়ে তার পিতা শাহ-আলম বরিশাল শেরই বাংলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে এবং আমার বিরুদ্ধে কুরুচিপুর্ণ ও অনৈতিক অভিযোগের তীর ছুড়ে যা আদৌ সত্য না।
ছাত্রদের অভিভাবক শাহআলম, কাওছার, শাহজাদা, হেলালসহ এলাকাবাসী জানান, রায়হানের পিতা শাহ আলমের বাড়ি পার্শ¦বর্তি শুক্তাগড় গ্রামে। তার ছেলেকে এখান থেকে নাম কাটার পরে প্রতিষ্ঠান কিভাবে চালায় তা দেখতে বিভিন্ন ধরনের কথা বলছিলো। এরপর শুনি শাহ আলমের ছেলে রায়হান বরিশাল হাসপাতালে ভর্তি আর হুজুরের নামে কুরুচিপূর্ন কথা রটানো হচ্ছে। আমরা এসব বিশ্বাস করি না। ২০১২ সাল থেকে মাদ্রাসা চলছে। শতশত ছাত্র এখানে শিক্ষা গ্রহণ করতেছে।এতো দিনে কোন অভিযোগ উঠলোনা, যখন রায়হানের নাম কাটলো তারপরের দিনই যত অভিযোগ আর মিথ্যা কথা। হুজুরের বিরুদ্ধে আনিত এসব মিথ্যা অপবাদের বিচার চাই আমরা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. কুদ্দুস হোসেন জানান, আমাদের গ্রামের হাফেজী মাদ্রাসাটি এলাকাবাসীর গর্ব। মাদ্রাসাটি ধ্বংসের গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা কল্পকাহিনী সাজিয়ে রটিয়ে বেড়াচ্ছে। শুক্তাগড় ইউপি সদস্য নূরে আলম মল্লিক জানান,কিছু দিন আগে রায়হানের বাবা শাহ আলম জানায় আমার ছেলেকে ঐ মাদ্রাসায় রাখবো না,মাদ্রাসায় ছেলের খাওয়া বাবদ কিছু টাকা জমা রয়েছে সেই টাকা গুলো আমায় এনে দেন।এরপরে উভয়পক্ষ বসে এবং আমায় সেখানে ডাকে।সেখানে মাদ্রাসার পরিচালকের সাথে রায়হানের বাবার লেনদেন শেষ হয়ে যায় এবং হুজুরের বিরুদ্ধে কোনো প্রকারের অভিযোগ ছিলোনা শাহ আলমের।এর কিছু দিন পরে হুজুরের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে মাদ্রাসায় এধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি।মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ রাহমাতুল্লাহ ভালো মানুষ। তিনি মসজিদের ইমাম, মাদ্রাসার পরিচালক, ওয়াজিন। তাকে নিয়ে কুরুচিপুর্ণ অশালীন এমন বাজে মন্তব্য করা কারোই ঠিক না। এ ব্যাপারে রায়হানের পিতা শাহ্ আলমের সাথে বাড়িতে গিয়ে তার ছেলের সাথে সাক্ষাতে কথা বলতে চাইলে তিনি কোন কথা বলতে দেননি এবং চিকিৎসা পত্রের কাগজ দেখতে চাইলে তিনি হাসতে হাসতে বলে এসব ব্যাপারে কথা বলা ও কাগজপত্র দেখাতে নিষেধ আছে তাই দেখাতে পারব না।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com